সোয়েব সাঈদ, রামু:
ধান খেতে পার্চিং করা হলে প্রাকৃতিকভাবে পোকা নিয়ন্ত্রন করা যায়। পার্চিং হলো ফসলি জমিতে লম্বা গাছের ডাল, বাঁশের খুঁটি বা কঞ্চি পুতে রাখা। জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ওই খুঁটিতে বসে জমির উপরি ভাগের দৃশ্যমান পোকা খেয়ে ফসল সুরক্ষা করে। পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে জমিতে ক্ষতিকর মাজরা পোকার আক্রমন হয়না। ফসলের উৎপাদন খরচ কমে যায়। বিষ প্রয়োগ না করার কারনে পরিবেশ দুষণ হয় না। আর্থিকভাবেও কৃষক লাভবান হয়। জানালেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু মাসুদ সিদ্দীকী।
তিনি আরো জানান, চলতি বোরো মৌসুমে ধানের ভালো ফলন নিশ্চিত করা, রোগ ও পোকামাকড় কমাতে রামু উপজেলার প্রতিটি ব্লকে কৃষকদের নিয়ে উৎসব আমেজে পার্চিং উৎসব পালন করা হচ্ছে। ধান খেতে ক্ষতিকর মাজরা পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করার লক্ষ্যে এ উৎসব আয়োজন করে উপজেলা কৃষি অফিস।
বুধবার (৭মার্চ) সকালে রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের সিপাহীরপাড়া সংলগ্ন মংলানের বিলে বোরো ধানের জমিতে গাছের ডাল ও বাঁশের কঞ্চি পুঁতে আনুষ্ঠিভাবে পার্চিং উৎসব উদ্ধোধন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু মাসুদ সিদ্দীকী। এতে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ও স্থানীয় কৃষকরা অংশ নেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু মাসুদ সিদ্দীকী এসময় কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিষমুক্ত উপায়ে ধান খেতে ক্ষতিকর মাজরা পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি কৃষকদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়। ইতিমধ্যে কৃষকরা এর সুফলও পেয়েছে। একারনে কৃষকদের আরো সচেতন করার লক্ষ্যে কৃষি বিভাগের উদ্যোগে পার্চিং উৎসব পালন করা হচ্ছে। এ পদ্ধতি সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রামু উপজেলা সহকারি কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আলী আহমদ, উপজেলা উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ফিরোজ আলম, উপজেলার বিভিন্ন ব্লকে কর্মরত উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ছোটন কান্তি দে, উত্তম কুমার চৌধুরী, মো. জহিরুল ইসলাম, মাহবুব আলম, মো. শহীদুল ইসলাম, আবদুল মোমিন, রুবিনা খানম, লিপি রানী বড়–য়া, শেলী আকতার, মোহছেনা আকতার, মো. জাকারিয়া, কৃষক জালাল আহমদ, স্বপন বড়–য়া, তাজুল হক, নুরুল ইসলাম, ফরিদুল আলম, আবছার মিয়া, মো. ফেরদৌস, ছিদ্দিক আহমদ, আনু মিয়া, আইয়ুব আলী, নুরুল হক প্রমূখ।